➡ শুরু কথাঃ ওজু ব্যতীত নামাজ হবেনা।তাই ওজু সতর্কতার সাথে করতে হবে। ইসলামে নামজের গুরুত্ব অপরিসীম, আর এই নামজ আদায় করতে হলে আপনাকে পাক পবিত্র হতে হবে যা একমাত্র
ওযুর মাধ্যমে সম্ভব। আজকে আমরা জানব ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি, ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ, নিচে ওযু সম্পর্কে আলোকপাত করছি।
➡ওজুঃ
ওজু অর্থ ধৌত করা।
শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায় কতগুলো অঙ্গ ধৌত করা
ওযু বলে।
➡ যদি
জানতে চান ওযুর ফরজ
কয়টি
তাহলে জেনে রাখুন ওযুর
ফরজ ৪টি যথা।
১/
সমস্ত মুখমণ্ডল ধৌত করা।
২/
উভয় হাত কনুই সহ
ধৌত করা।
৩/
মাথা মাসেহ করা।
৪
/ উভয় পা ধৌত করা।
➡ ওযুর
সুন্নত সমূহঃ ওযুর সুন্নত
নয়টি। যথা-
১
/ ওযুর প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়া।
২/
উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত
ধৌত করা ।
৩/মেসওয়াক করা।
৪/
কুলি করা।
৫/
নাকে পানি দেওয়া।
৬/
উভয় কান মাসেহ করা।
৭/হাত পায়ের আঙ্গুলি
সমূহ খিলাল করা।
৮/
ওযুর অঙ্গগুলো প্রতিটি তিনবার করে ধৌত করা।
৯/
ইমাম আবু ইউসুফ রহমাতুল্লাহ
আলাইহি এর মতে দাড়ি
খিলাল করা।
➡ ওযুর
মুস্তাহাব সমূহঃ ওজুর মুস্তাহাব
সমূহ ছয়টি।যথা-
১/
পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
২/
তারতীব রক্ষা করা।
৩/
সমস্ত মাথা মাসেহ করা।
৪/
ডান দিক থেকে ওযু
শুরু করা,যেকোনো অঙ্গের
ডান অঙ্গটি আগে ধৌত করা।
৫/
এক অঙ্গ ধৌত করার
সাথে সাথে অপর অঙ্গ
ধৌত করা। হাশরের দিন
৬/
ঘাড় মাসেহ করা।
➡ ওযুর ফজিলত
tঅজু করার কারণে
হাশরের দিন ধৌত করা
অঙ্গ সমূহে নূর চমকাতে থাকবে।
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
➡ কোন
ইবাদতের ওজু প্রয়োজন t
১.নামাজ।
২.কুরআন তিলাওয়াত।
৩.সিজদায়ে তিলাওয়াত
৪.যিকির।
৫.দরূদ শরীফ পাঠে
৬.রওজামুবারক যিরারতে
৭.সালেহীনদের সাথে সাক্ষাতে
৮.মসজিদে প্রবেশ করলে
➡ওযু ভঙ্গের
কারণ সমূহ t
১.পায়খানা অথবা প্রসাবের রাস্তা
দিয়ে কোন কিছু বের
হওয়া।
২.শরীরের কোন স্থান হতে
রক্ত, পুজ বা পানি
গড়িয়ে পরা।
৩.মুখভর্তি বমি হওয়া।
৪.পাগল বা মাতাল
হওয়া।
৫.কোন কিছুর সাথে
হেলান দিয়ে নিদ্রায়
গেলে
৬.ওজু করার পর
স্ত্রী সহবাস করলে।
সমাপনী
কথাঃ সুন্দর ভাবে ওজু করলে
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যাবে।পবিত্র কুরআনে
এসেছে-নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র,পবিত্রতা আর্জনকারীদের তিনি ভালবাসেন।
0 মন্তব্যসমূহ