শুরু কথাঃ সকল ইবাদতের গুরুত্ব পবিত্রতা এর উপর নির্ভর করে। যে ইবাদতের পূর্বে পবিত্র হওয়া যাবে সে ইবাদত আল্লাহর কাছে কবুল হবে। এখানে পবিত্রতা এর ক্ষেত্র,
মাধ্যম, পবিত্রতা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত, পবিত্রতার গুরুত্ব নিয়ে সহজ আলোকপাত করছি।সালাত কবুলের পূর্বশর্ত t সালাত তথা নামাজ কবুলের পূর্ব শর্ত পবিত্রতা। মনের পবিত্রতা, পোশাক তথা শরীরের পবিত্রতা (sanctity)অর্জন করা।
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমঃ পবিত্রতা (sanctity) অর্জনের মাধ্যম গুলো হল ওযু,গোসল,তায়াম্মুম। কমন ভাবে সকলে অজু-গোসল দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে পারে।
পবিত্রতার গুরুত্বঃ
- কিন্তু কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম ফরজ।পবিত্রতা মানুষের মনকে সতেজ ও সুন্দর করে।
- হাদীসে এসেছে-নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, সৌন্দর্য কে ভালবাসেন।
- অপবিত্রতা মানুষের মনে বক্রতা তৈরি করতে পারে,আল্লাহ ও পরকাল থেকে ব্যক্তিকে দূরে রাখে।
- শুধু শরীর আর পোশাক পবিত্র হলে চলবেনা।সাথে মনের পবিত্রতা থাকা চাই।
- আল্লাহ তায়ালা বলেন- সে সফলকাম যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে।
- আল্লাহ কোন ব্যক্তির সৌন্দর্য দেখেন না,তার অন্তঃকরণ দেখেন।
পবিত্রতা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত এ ব্যাপক ভাবে আলোচনা করা হয়ছে। পবিত্র কুরআন পবিত্রতা অর্জন ব্যতীত স্পর্শ করা নিষেধ। এ থেকে বুঝা যায় পবিত্রতা অর্জন কত জরুরী। অপবিত্র অবস্হায় একজন মুমিন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির সাথে সালাম ও
মুসাফাহা করতে পারবে।হাদীস থেকে প্রমাণিত। পবিত্র আত্মা ও শরীর একমাত্র নিরাপদ। আল্লাহর কাছে খুবই দামী। এত দামী দুনিয়ার আর কিছুই পারেনা।
হাদীসের মূল ভাষ্য-নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র।পবিত্র বস্তু ব্যতীত তিনি গ্রহণ করেন না।পবিত্র বস্তু তাঁর কুদরতি ডান হাতে গ্রহণ করেন।
অন্য হাদীসে এসেছে - একবার নবী করিম( সঃ) একটু কবরাস্হানের নিকট দিয়ে গমন করেন।সেখানে দাঁড়িয়ে দুয়া করেন।এক সাহাবীকে ডেকে খেজুরের একটি ডালা আনতে বলেন,তিনি নিয়ে এলে ডালা দু'টিকে ভাগ করে দুটি কবরের মাথায় পুঁতে দেন।
সাহাবায়ে কিরাম জানতে চাইলেন, হুজুর কেন এরূপ করলেন?তিনি জবাব দিলেন দু'টি কবরে সামান্য পাপের দরুন শাস্তি হচ্ছিল।
একজন পরনিন্দা করত, অপরজন প্রসাব থেকে ঠিকমত পবিত্র হতনা।খেজুরের ডালা যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন তাদের কবরে শাস্তি লঘু হবে।
উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়, পবিত্রতার (sanctity) গুরুত্ব কত?ধন সম্পদের যাকাত দিলে মাল পবিত্র হয়। বৃদ্ধি পায়।মহান আল্লাহ বলেন-সেদিন ধন সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবেনা, তবে যিনি আল্লাহর কাছে নিরাপদ আত্মা নিয়ে হাজির হবেন।
তবে এখানে নিরাপদ আত্মা-ই হচ্ছে পবিত্রতা। আল্লাহ-ই
পারেন আমাদের আত্মাকে পবিত্র করে দিতে,এজন্য সাধনা,আধ্যাত্মিকতা দরকার।
অন্য হাদীসে এসেছে- মানুষের শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে,সেটি বিনষ্ট হলে গোটা শরীর নষ্ট হয়ে যায়।মানে অপবিত্র হয়ে যায়।রাসূল( সঃ) বলেছেন-সেটি হচ্ছে কলব বা আত্মা।
সমাপনী বক্তব্যঃ আমরা কলব সংশোধনের প্রতি গুরুত্ব দিব তাহলে আমাদের শরীর, মন, পোশাক,সম্পদ সব-ই
পবিত্র হবে।
0 মন্তব্যসমূহ