মুহররম মাসের ফজিলত, আশুরার ফজিলত, আশুরার রোজা কবে

ভূমিকাঃ মহান আল্লাহর বরকতময় মাস মুহররম। সে কারণে আমরা মাসকে সম্মান দিব।যেহেতু বছরের শুরুর মাস।আল্লাহ মুহররম মাসকে স্মানিত করেছেন এবং মুহররম মাসের ফজিলত অত্যাধিক। যারা এমাসকে সম্মান দিবেন তারাও সম্মানিত হবেন। যদিও সব মাস,দিন,বছর মহান আল্লাহর।

 

মুহররমঃ প্রত্যেক মাসের শুরু আছে তেমনি আরবি মাস মুহররম দিয়ে শুরু হয়েছে।যার অর্থ নিষিদ্ধ, অবৈধ।জাহিলিয়াতের যুগে মাসের সম্মানে যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ থাকত।এ কারণে মাসকে মুহররম বলা হয়।

 

আরবি হিজরী সনের প্রবর্তকঃ বাংলা সনের প্রবর্তক সম্রাট আকবর।হযরত মুহাম্মাদ( সঃ) যে দিন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছেন সেদিন থেকে হিজরী সন গণনা করা হয়। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর( রাঃ) সর্ব প্রথম হিজরী সনের প্রবর্তন করেন।

 

আশুরাঃ মুহররম মাসের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আশুরার সাথে অগণিত ঘটনা বিদ্যমান।

 

দশ- মুহররম তথা আশুরার ফজিলত এবং গুরুত্বঃ

১।মহান আল্লাহ দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।

২।হযরত আদম (আঃ) হাওয়া(আঃ)-এর তওবা আল্লাহ এদিনে কবুল করেছেন।

৩।হযরত সুলাইমান( আঃ) তাঁর হারানো রাজত্ব এদিনে ফিরে পান।

৩।হযরত আইয়ুব (আঃ) এদিনে কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি পান।

৪।হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পান এই সম্মানিত দিনে।

৫।হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) কারবালার প্রান্তরে শাহদাত বরন করেন এদিনে।

৬।হযরত হাসান (রাঃ) কে বিষ পান করিয়ে শহীদ করা হয় এদিনে।

৭।হযরত নূহ (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা প্লাবন থেকে মুক্তি দেন এদিনে।

৮।হযরত ইব্রাহিম( আঃ) নমরূদের আগুন থেকে নিষ্কৃতি পান এদিনে।

৯।হযরত মুসা (আঃ) তাঁর দলবল সহ লোহিত সাগরে ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পান এদিনে।

১০।মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন এদিনে।

 

আশুরার রোজা কবেt দশ- মুহররম তারিখকে আশুরা বলা হয়। মহানবী (সঃ) মদীনায় এসে দেখলেন যে,ইহুদিরাও হযরত মুসা (আঃ) -এর মুক্তির দিন হিসেবে দিন সাওম পালন করে, তখন আল্লাহর হাবিব বললেন মুসা (আঃ)-এর প্রতি আমরা অধিক হকদার।এরপর নিজে রোযা রাখলেন এবং সাহাবায়ে কিরামকে রোযা রাখার আদেশ দিলেন।

 

আশুরার কেবলমাত্র একটি রোযা রাখা মাকরূহ। দশ তারিখের সাথে নয় তারিখ অথবা এগারো তারিখে সাওম পালন করা উচিত। তাহলে ইয়াহুদী খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য হয়না।

 

আশুরার ফজিলত এবং এর তাৎপর্য অত্যাধিক রাসূল (সঃ) বলেছেন আমি মনে করি যে,আশুরার রোযার বরকতে আল্লাহ পাক বিগত বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেন।

 

আশুরার নিষিদ্ধ কাজঃ দশ মুহররম তারিখে নিষিদ্ধ কাজ সমূহ।

১।উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করা।

২।হায় মাতম করা।

৩।মর্সিয়া।

৪।ভিন্ন পোশাক পরিধান।

৫।সাজ-করা।

৬।রাসূল (সঃ)-এর আপনজনকে অপমানজনক কথা বলা।

৭।ঢোল তবলা বাজানো।

 

শেষ কথাঃ মুহররম মাসের দশ মুহররম ইতিহাসের স্বণাক্ষরে লিখা আছে।মহিমান্বিত দিন।অনেক কিছু সংশ্লিষ্ট আছে দিনে।ইবাদতে মশগুল থেকে দিনটির হক আদায় করা যায়।