দরূদ শরীফ (Durud Sharif) কি?

মহামানব হুজুর( সঃ) তাঁর রওজা শরীফে জীবিত আছেন। তার প্রতি যে বা যারা দরূদ শরীফ পাঠ করেন তিনি স্বংয় নিজ কানে শুনতে পান।

 

দরূদ শরীফ কি? দরূদ শরীফের উদ্দেশ্য কি? দরূদ শরীফের ফজিলত কি? এসব নিয়ে আলোকপাত করছি।

 

দরূদ শরীফ কি? দরূদ শব্দটি ফারসি ভাষার শব্দ।আরবিতে একে সালাত বলা হয়।

সাধারণত সালাত বললে নামাজ বুঝায়।কিন্তু যখন সালাতু আলান নাব্যিয়ি বললে নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করা বুঝায়।আর শরীফ আরবি ভাষার শব্দ।যার অর্থ সম্মানিত,মর্যাদাবান।

 

দরূদ অর্থ নবীর প্রতি রহমত বর্ষণের দুয়া,যা আল্লাহ নিজে,তাঁর ফেরেশতাকুল,বান্দাসহ সকল সৃষ্টি তামাম এটি করেন।

 

দরূদ শরীফ পাঠের উদ্দেশ্যে কি? দরূদ পাঠে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) শান মান বৃদ্ধি পায়।তার জন্য প্রশংসা করা হয়।কেননা,তিনি উভয় জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ।তিনি সকলের নবী।কোন বান্দা যদি তার নবীর প্রতি দরূদ না পাঠ করেন,স্বয়ং আল্লাহ তার ফেরেশতা তাঁর নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করেন।

 

দরূদ শরীফ পাঠের ফজিলত t

 

হাদীসের বানীঃ

মহানবী( সঃ) বলেছেন-যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ শরীফ (Durud Sharif)পাঠ করে,আল্লাহ তার প্রতি দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করেন।তার দশটি ছোট গুনাহ আমলনামা থেকে মুছে দেন।তার সম্মানকে আল্লাহ তায়ালা দশটি ধাপে বৃদ্ধি করেন।

 

জুমআর দিন একহাজার বার দরূদ পাঠ করলে ব্যক্তি জান্নাতে তার স্হান না দেখা পর্যন্ত আল্লাহ তার মৃত্যু দিবেননা অথবা মৃত্যুর পূর্বে একবার হলে রাসূলের যিয়ারাত নসীব হবে।

 

দরূদ শরীফ পাঠে রাসূলের শাফায়াত ওয়াজিব হবে।

 

দরূদ শরীফ পাঠে চেহারা চাঁদের ন্যায় উজ্জল হয়।

 

দরূদ পাঠের দ্বারা হাউজ কাওছারের পানি নসীব হবে।

 

রাসূল (সঃ) বলেছেন-যে ব্যক্তির নিকট আমার আলোচনা হলে দরূদ পাঠ করেনা তার নাসিকা মলিন হোক। (তিরমিজি)

 

সকল ইবাদত আসমান যমীনে থেমে থাকে যতক্ষণ না রাসূল( সঃ) এর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করা হয়

 

যে কোন মজলিসে রাসূল (সঃ) এর নাম শুনা মাত্র তার প্রতি একবার দরূদ পড়া ওয়াজিব না পড়লে গুণাহগার হবে।

 

বেশি বেশি দরূদ পাঠ করলে ভাগ্য যদি ভাল হয় রাসূল (সঃ) যিয়ারত স্বপ্নের মধ্যে নসীব হবে।কেননা,শয়তান তাঁর আকৃতি ধারন করতে পারেনা।যিনি স্বপ্নে হুজুর( সঃ)দেখলেন তিনি যেন বাস্তবপ তাকে দেখলেন।তার জন্য রাসূল (সঃ) -এর শাফায়াত ওয়াজিব হবে।

 

সমাপনী t দরূদ শরীফের ফজিলতের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমরা যেন বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে দুনিয়া আখেরাতে কল্যাণের অধিকারী হই।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।